বাংলার লোককথা:
আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম গ্রাম বাংলার লোককথা নিয়ে ।আজ থাকছে এ সিরিজের তৃতীয় পর্ব ।আজ আপনাদের শোনাব কুড়িগ্রাম জেলার দূরবর্তী একটি গ্রামের গল্প ।গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদী।গ্রামের অনেক লোকজনই এই নদীতে মাছ ধরে।মাছ ধরা অনেকের পেশা, আবার অনেকের নেশাও হয়ে গেছে ।নদীতে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী নৌকা চলাচল করে।গ্রাম বাংলার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রতি বর্ষায় প্লাবিত হয় গ্রামের নিচু অংশ।অনেক সময় মানুষের বসত ভিটাতেও পানি উঠে যায় ।এতে করে লোকজনের জীবন যাপন ও চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।নৌকা হয়ে উঠে চলাচলের একমাত্র উপযোগী মাধ্যম।এলাকার রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন গাছ গাছালি লাগানো আছে, যা চলার পথে পথিককে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে।এলাকার মাঝ বরাবর পাকা রাস্তা এলাকাটিকে উপজেলা শহরের সাথে যুক্ত করেছে।গ্রীষ্মকালে রাস্তার দুপাশের ধানক্ষেতের দুলুনি হাওয়ায় ধানের শীষ দোল খেলে যায়,যা দেখে হৃদয় শীতল হয়ে যায় ।এলাকার পূর্ব পাশে একটা ছোট বিল বয়ে গেছে ।এই বিল নিয়ে লোকমুখে শুনা যায় নানারকম লোককথা ।কাহিনী গুলোর বেশির ভাগই এলাকার দাদা -নানা দের কাছে থেকে শোনা ।যেমন লোকজন ভোর রাতের দিকে বিলে ধবধবে সাদা রঙের কাপড় পড়া বুড়ি দেখতে পেত।আবার কেউ রাতে মাছ ধরতে গেলে তাদেরকে ভয় দেখাতো।এলাকার মানুষ সহজ সরল ভাবে জীবিকা নির্বাহ করে ।এলাকায় স্কুল, মাদ্রাসা আছে, যেখানে সকাল থেকে ছেলেমেয়েদের কোলাহলে মুখরিত থাকে ।বিকেলে ছেলে মেয়েরা স্কুল মাঠে বিভিন্ন রকম খেলাধূলা করে। খেলাধূলা শেষে তারা প্রার্থনাকরে পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে যায় । এভাবেই এলাকার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।খোঁজতে গেলে এরকম হাজারো গ্রাম আছে ।যেগুলোর গল্প হয়ত কখনো কাছে আসে আবার অনেক গল্প অন্তরালেই থেকে যায় ।
0 Comments