Posts

Showing posts with the label Travel

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা শেষ পর্ব

Image
রতনের লোকালয়ে ফেরা: রতন নানারকম আকার ইঙ্গিতে তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করলেও তারা কিছুই বুজতে পারলনা। তারা আরও জোরে জোরে অপরিচিত ভাষায় চিৎকার করতে লাগল। এতে রতন কিছুটা ভয় পেলেও পরমুহূর্তে সে চিন্তা করল মাটিতে ছবি এঁকে বুঝাতে চেষ্টা করবে। মানুষ আদিকাল থেকেই ছবি আঁকা-আঁকি দিয়ে তাদের ভাবের আদানপ্রদান করে এসেছে। সে একটি গাছের ঢালের ভাঙ্গা অংশ সংগ্রহ করে তা দিয়ে মাটির মধ্যে যেখানে দেখা যাচ্ছে সে নদীর উল্টোদিক থেকে জঙ্গলময় এলাকা থেকে এসেছে। সে নদীর গতিপথ , পাহাড়ের রেখা সব এঁকে দেখাল। জঙ্গলের লোকদের মধ্যে থেকে একজন লোক এগিয়ে এসে খুব নিচু হয়ে কি যেন কতক্ষণ পরীক্ষা করল। এরপর সে মুখে হাসি ফুটিয়ে অদ্ভুত ভাষায় রাজাকে কি যেন বুঝাল। তাতে রাজাও তার কথায় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলেন । তারমানে তারা বুঝতে পেরেছে রতন পাহাড়ের ওপাড়ের জঙ্গল থেকে পথ ভুল করে এখানে চলে এসেছে । রাজা হাত উচু করে রতন কে কাছে ডাকলেল। কাছে ডেকে তাকে পুরাতন কাঠের গুড়ির তৈরি আসনে বসতে বললেন । আসের পাশের যারা ছিল রাজা তাদেরকে কিছু একটা বলতে বাঁশের গুড়ির অংশ দিয়ে তৈরি করা পাত্রে দুধে

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা চতুর্থ পর্ব

Image
মানব বসতির খুঁজে রতন: চলতি পথে রতন আধাকিলোমিটার দূরে দূরে ঢালপালা ভেঙে চিহ্ন দিয়ে দিল। যাতে করে মৃত ঢালপালা দেখে পরে বুঝতে পারে সে এ এলাকায় আগেও এসেছিল । নদীর গতিপথের উল্টোপথে এগোতে লাগল সে। সে ভাবল উল্টোপথে এগুলে হয়তো নদীর আশেপাশে গড়ে উঠা কোন বসতির সন্ধান পাওয়া যাবে । প্রথমদিকে সে তিন-চার ঘন্টা ভালোভাবেই সামনের দিকে এগুতে পারল। তারপর থেকেই বাধল বিপত্তি । ধিরে ধিরে বনভূমি উচু হয়ে উপরের দিকে উঠতে লাগল । বড় বড় পাথরের খাড়া ঢাল বাড়তে লাগল । নতুন উপদ্রব যোগ হল অদ্ভুত ধরনের পোকার বিকট শব্দ, কান একেবারে ফেঁটে যাওয়ার মতো অবস্থা । এভাবে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত হেঁটেও সে কোন বসতির চিন্হমাত্র দেখতে পেল না। অন্ধকার নেমে আসছে চারদিকে । একটু পর রাত হবে।কোথাও আশ্রয় নেওয়া দরকার,তাই সে পাহাড়ের ঢালে কোথায় কোন গোহার মতো জায়গা আছে কিনা দেখতে লাগল । কিন্তু অনেক খোঁজার পরও সে এমন কোন জায়গার সন্ধান পেলনা। তখন সে ভাবল বড় কোন গাছের গুঁড়িতে আশ্রয় নিবে। তাই সে বড় পুরনো গাছ খোঁজতে লাগল । সে খুঁজে পেয়

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা তৃতীয় পর্ব

Image
পানি সংগ্রহের পথে রতন: দুপুর গড়িয়ে বিকাল শুরু হল। হাতীর পাল ঢালু এলাকা বেয়ে সামনে এগিয়ে চলল। তাদের দেখে মনে হচ্ছে মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া হয়েছে ।বেশ কয়েকটি চড়াই উৎরাই পার হয়ে হাতীর পাল যখন সমতল ভূমিতে এসে পৌঁছল তখন দূরে নদীর তটরেখা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল । রতন অনেক কষ্টে হাতীর পাল কে অনুসরন করতে ছিল। এতে করে তার হাত, পা আর শরীরের বিভিন্ন অংশ জংলি কাঁটাযুক্ত গাছের আচড়ে ছোলে গেল। হাতীর পাল যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই নদীর তটরেখা স্পষ্ট হচ্ছিল । এভাবে প্রায় ঘন্টা খানেক যাওয়ার পর হাতীর পাল নদীর কাছে এসে পৌঁছল। পানি দেখে হাতীদের আনন্দের শেষ নেই ।শুঁড় দিয়ে পানি ছিটিয়ে খেলা করতে লাগল।শুঁড় পানিতে ডুবিয়ে পানি পান করতে লাগল হাতীগুলো। হাতীরদের পানি পান করা শেষ হয়ে গেলে তারা বনের অন্য প্রান্তের দিকে চলে যেতে লাগল। তখন রতন নদীর কাছে গিয়ে পানি পান করল আর সঙ্গে রাখা কিছু কাঠের গুড়ির পাত্রে পানি ভরে নিল। পানির সমস্যা তো মিটে গেল। এখন দরকার লোকালয়েয় খুঁজে বের হওয়া । ফিরতে হবে মানব বসতির দিকে। এরকম পরিস্থিতিতে দিক ঠিক রাখা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায় । অনেক সময় ডেথ স

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা দ্বিতীয় পর্ব

Image
যাত্রা পথে রতন চলতে চলতে এক সময় তার মাঝে কাল্তি চলে আসে। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সে জঙ্গলের এক জায়গায় থামল। চারদিকে গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা । সর্বত্র অপরিচিত বড় বড় গাছ গাছালি।গাছে গাছে অদ্ভুত ধরনের অপরিচিত পাখি। পাখির মাথাগুলো ছোট তবে দেখতে অনেকটা গরুর মাথার মতো দেখতে। পাখি গুলো এমন অদ্ভুত একধরনের শব্দ করছে যেন তারা নিজেদের মধ্যে কোন অপরিচিত ভাষায় কথা বলছে। দূর থেকে হাতির ডাক শোনা যাচ্ছে । মনে হচ্ছে আসেপাশে কোথাও হাতির পাল চড়ে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে। এরকম মনোরম পরিবেশ দেখে রতনের কান্তি এমনিতেই অনেকটা কেটে গেল । কিন্তু একটু পর সে ক্ষুধা অনুভব করল। কিছু ভেবে পাচ্ছিল না কি খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করবে, যদিও চারপাশের গাছগুলোতে নানা রঙের আকর্ষণীয় ফল দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু তার সন্দেহ হচ্ছিল ফলগুলো যদি বিষাক্ত হয় তবে খেলে নিশ্চিত মৃত্যু ।তাই সে ভাবছিল কি করা যায় । সে হাটতে হাটতে আরও গভীর জঙ্গলের দিকে ডুকে গেল।কিছুদূর যাওয়ার পর দেখতে পেল একদল বূড়ো হনুমান ।সে লক্ষ্য করল তাদের হাতে গোলাপী রঙের কোন একটি ফল। ফলগুলোর খোসা ছা

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা প্রথম পর্ব

Image
রতনের রোমাঞ্চকর ভ্রমন শুরুঃ বোনের বাড়ি যাচ্ছিল রতন। রাস্তা ভুলে সে পাহাড়ি উপত্যকার কাছাকাছি চলে গেল। তার সাথে ভারি অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটে গেল । ডানা ছাড়াই মাটি থেকে চার পাঁচ হাত উপর দিয়ে উড়তে পারছে। সে উড়ে চলতে লাগল । যেতে যেতে এমন এক স্থানে পৌছল যেখান থেকে দূরে আকাশছোঁয়া কোলো পাহাড় দেখা যাচ্ছে ।মাঝে নদী আর নদীর ওপারে পাহাড়ি জংলি মানুষের বসবাস । নদীর ওপারে সভ্যতার আলো এখনো পৌছে নি। নদীর ওপারের পাহাড়ি লোকজন নদীর এপার আসার কোন পদ্ধতিও আবিষ্কার করতে পারে নি।ফলে তারা নদীর ওপারেই দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করে । এদিকে রতন উড়ে চলেছে মাইলের পর মাইল, কিন্তু সে তার গন্তব্য খুঁজে পাচ্ছে না ।চলছে তো চলছেই । এ যাত্রার শেষ নেই।যতই সে এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে ততই অপরিচিত এলাকার সন্ধান পাচ্ছে।

শেরপুর ভ্রমন-দ্বিতীয়/ শেষ পর্ব

Image
শেরপুর ভ্রমন শেরপুর ভ্রমন প্রথম পর্বের পর থেকে------ সারাদিন ঘোরাঘুরির পর আবার আমরা শেরপুর শহরে ভাইয়ের বাসায় চলে আসলাম।রাতে খাওয়া-দাওয়ায় পর সবাই বসে সিদ্ধান্ত নিলাম আগামীকাল সকালে আমরা বেড়িয়ে পড়ব মধুটিলা ইকোপার্কের উদ্দেশ্যে ।ভোর হতেই হাত মুখ ধুয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, সকালের খাবার খেয়ে বেড়িয়ে পরলাম।মধুটিলা ইকোপার্ক জেলা শহর থেকে প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার দূরে ।আমরা বাসে উঠে রওনা হলাম।সকাল এগারোটা নাগাদ আমরা পৌছে গেলাম মধুটিলায়।এখানে রয়েছে বিভিন্ন শোভাবর্ধনকারী এবং বিরল প্রজাতির গাছ ।এছাড়া আছে ওষুধি গাছের বাগান। এখানে রয়েছে ছোট বড় অনেক গুলো টিলা । আমরা সবাই আনন্দের সাথে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় উঠানামা করলাম। এখানে ঝুলন্ত সেতু রয়েছে বেশ কয়েকটি, যা এর সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করেছে। ঝুলন্ত সেতুগুলো লেকের উপর দিয়ে । ঝুলন্ত সেতু দিয়ে লেকের অন্য প্রান্তে যাওয়া সত্যিই রোমাঞ্চকর।এভাবে ঘোরাফেরা করতে করতে সারাদিন কেটেগেল।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমরা শেরপুর শহরে ভাইয়ের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য রওনা হলাম। শহরে পৌছতে পৌছতে বেশ রাত হয়ে গেল। খাওয়া দাওয়ার পর আমরা ঘুমাত

শেরপুর ভ্রমন -প্রথম পর্ব

Image
শেরপুর ভ্রমন অনেক দিন আগের কথা,তা প্রায় বিশ-বাইশ বছর হবে।কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম শেরপুর ভ্রমনে যাব।আপনারা যারা শেরপুর ভ্রমনে গিয়েছেন অবশ্যই জানেন শেরপুরের বিখ্যাত জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে গজনী অবকাশ কেন্দ্র,মধুটিলা ইকোপার্ক এবং রাজার পাহাড় বিশেষ ভাবে উল্খেযোগ্য ।এমনি এমনি কি আর ভ্রমনে যাওয়া যায় বলুন, প্রস্তুতিরও দরকার আছে।তাই আমরা সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রওনা হব।দেখতে দেখতে আমাদের যাত্রা শুরুর দিন চলে এল।শেরপুরে আমাদের পরিচিত এক বড়ভাই চাকরি করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমদিন ওনার বাসায় থাকব। আমরা ঢাকা থেকে দুপুর বারো টার সময় রওনা হলাম।বিকেল সাড়ে চারটার পৌছলাম শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এ। বড়ভাই আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই এসেছিলেন ।তার সাথে কুশল বিনিময়ের পর আমরা ওনার বাসার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। রিক্সা করে আধাঘন্টা যাওয়ার পর ওনার বাসা। ওনার বাসাটি অনেক সুন্দর ছিল।চারপাশে গাছপালায় ঘেরা। রাতে উনি আমাদের জন্য বিভিন্ন রকম খাবাবের আয়োজন করলেন । তার মধ্যে গরুর মাংসের স্বাদ আজও ভুলতে পারি না।রাতে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম সকালে আমরা বেড়িয়ে পড়ব