আশা নিরাশা ও প্রাপ্তি:
সময়ের নিয়মে সময় চলে যায় । কালকের দিন আজকে অতীত।কত সহজেই না পুরনো দিন গুলো হারিয়ে যায় ।স্মৃতির উপর ধুলো জমে।জমতে জমতে আস্তরন পুরো হয় ।তার নিচে জমা পরে যায় অতীতের কথা ।মানুষ বাঁচে আঁশা নিয়ে ।ভাবে কষ্ট করি এক সময় সব হবে। মানবজীবন অতি ছোট একজীবনে সব আর কখনো হয়ে ওঠেনা।অতৃপ্তির খাতায় শূন্যতাই প্রাপ্তি।স্মৃতি কাতর হয়ে কতটুকু এগোনো যায় ? অনেকে পরিবারের চাপে নিজেকে বিসর্জন দেয় ।নিজের সপ্ন, পথ চলার গতিরেখা , সব খেই হারিয়ে বসে।পরিবারের বোঝা মানুষের মনের সৃজনশীলতাতে সমূলে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যথেষ্ট ।পরিকল্পনা বিহীন পারিবারিক ব্যবস্থায় হতাশাই একমাত্র প্রাপ্তি ।নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা সুখেই দিন কাটায়। উচ্চবিত্তদের আছে টাকা আর নিম্নবিত্তদের সব রকম উপার্জনমূলক কাজ করার স্বাধীনতা। বিপদে মধ্যবিত্ত ।না পারে চলতে না পারে বলতে। লোক লজ্জাই মধ্যবিত্তের বড় সম্পদ।এ কাজ করা যাবেনা মানুষ কি বলবে, ও কাজ করলে মান সম্মান শেষ।মান সম্মান খুব দামী জিনিসরে বাবা। না খেয়ে থাকলেও মান-সম্মান খোয়ানো যাবেনা ।প্রয়োজনে খাওয়ার অভিনয় করতে হবে।সমাজ ব্যবস্থা অতি পুরাতন যুগ যুগ ধরে মানুষ এ ব্যবস্থার সাথে অভ্যস্ত । কিন্তু কিছু সংস্কার এখনো দরকার।ছোট বড় শ্রেনী বিভাজন আজীবন থাকবে।তাই বলে কর্ম ক্ষেত্র সম্পসারন হবেনা একেমন কথা।চারদিকে শিক্ষিত কর্মহীন মানুষের পদধ্বনি ।কর্মমুখী শিক্ষার অপ্রতুলতা সব যেন দৃশ্যমান ।এত এত সমস্যার মাঝেও মানব সভ্যতা কখনো থেমে থাকেনি।এগিয়েছে সামনের দিকেই ।আমরাও এগোচ্ছি ।এগুনোর গতি সব সময় দৃশ্যমান হবে এমনটাও বাধ্যতামূলক ও না। মনের জোরই বড় শক্তি ।সভ্যতা যত এগোচ্ছে মানুষের মধ্যে অস্থিরতা তত বাড়ছে।স্থির থাকা যেন প্রায় অসম্ভব ।জীবন গতির টানাপোড়েনে পরে দিগ্ভ্রান্ত অনেকেই ।সামনে আলোর দেখা নাই। সামনে কি হবে তা নিয়ে অস্থিরতা ।এরই মাঝে কখনো কখনো মহামারী হানা দিয়ে সমাজ ব্যবস্থার কংকাল বের করে নিয়ে আসে দৃশ্যপটে। মহামারীতো আর আপন পর চিনতে পারে না, যাকে সাথে পায় সাথে করে নিয়ে যায়, নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলে, যেমন মহামারীতে চাকরি নাই , খাবার সমস্যা ইত্যাদি, ইত্যাদি । এগুলো যেন একেবারে জেঁকে বসে। কারনে অকারণে লোক ছাঁটাই যেন একটা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু মেহনতি মানুষ এগুলোকে কিছু মনে করে না। সুখ দুঃখ হাসি কান্নার মাঝেই তাদের জীবনরেখা সামনে এগোয় ।মেহনতি হাত দেশ গড়ে, উচু দালাল উঠে শহরতলিতে । ফুটপাতেও মানুষের অভাব নেই ।জীবন থেকে কাহিনী তুলে আনাও অনেক সময় কঠিন ।শত কষ্টের মাঝেও হাসি মুখে চলা মানুষগুলো নিজেদের কষ্টের কথা মানুষের সামনে কখনো আনতে চায় না । তারা চায় শুধুমাত্র একটু সম্মান ।এতকিছুর পরও মানুষ হারতে শিখেনি ভাঙ্গতে শিখেনি।সভ্যতার সুতো সামনের দিকে টেনে নেওয়ায় খিলাড়ি যে এরাই।
0 Comments