শেরপুর ভ্রমন -প্রথম পর্ব

শেরপুর ভ্রমন
শেরপুর ভ্রমন

অনেক দিন আগের কথা,তা প্রায় বিশ-বাইশ বছর হবে।কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম শেরপুর ভ্রমনে যাব।আপনারা যারা শেরপুর ভ্রমনে গিয়েছেন অবশ্যই জানেন শেরপুরের বিখ্যাত জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে গজনী অবকাশ কেন্দ্র,মধুটিলা ইকোপার্ক এবং রাজার পাহাড় বিশেষ ভাবে উল্খেযোগ্য ।এমনি এমনি কি আর ভ্রমনে যাওয়া যায় বলুন, প্রস্তুতিরও দরকার আছে।তাই আমরা সবাই মিলে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রওনা হব।দেখতে দেখতে আমাদের যাত্রা শুরুর দিন চলে এল।শেরপুরে আমাদের পরিচিত এক বড়ভাই চাকরি করতেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথমদিন ওনার বাসায় থাকব। আমরা ঢাকা থেকে দুপুর বারো টার সময় রওনা হলাম।বিকেল সাড়ে চারটার পৌছলাম শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এ। বড়ভাই আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আগেই এসেছিলেন ।তার সাথে কুশল বিনিময়ের পর আমরা ওনার বাসার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। রিক্সা করে আধাঘন্টা যাওয়ার পর ওনার বাসা। ওনার বাসাটি অনেক সুন্দর ছিল।চারপাশে গাছপালায় ঘেরা। রাতে উনি আমাদের জন্য বিভিন্ন রকম খাবাবের আয়োজন করলেন । তার মধ্যে গরুর মাংসের স্বাদ আজও ভুলতে পারি না।রাতে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম সকালে আমরা বেড়িয়ে পড়ব গজনী অবকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে ।সকাল হল , পাখির কলকাকলিতে সবার ঘুম ভাঙল।ঘুম থেকে উঠে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম। গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানায় অবস্থিত ।ভারতের পাশর্বর্তী রাজ্য হল মেঘালয় ।গজনী অবকাশ কেন্দ্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী গারোপাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ।রহস্যগেরা এক পাহাড়ি এলাকা। শীতকালে এখান থেকে গারোপাহাড়ের সৌন্দর্য খুব ভালোভাবে অবলোকন করা যায় বলে শত শত পর্যটক চলে আসে এখানে ।আমরা ঘুরে ঘুরে গজনী অবকাশ কেন্দ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম । ঘুরতে ঘুরতে কখন যে আমরা ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম আমরা নিজেরাও জানিনা। বিডিআরের সদস্যেরা আমাদের বললেন আর সামনে যাওয়া ঠিক হবেনা কারন সামনেই ভারতীয় সীমান্ত। তাই আমরা পেছন ফিরে চলে আসলাম। এখানেই শেষ করছি প্রথম অংশ । বাকি অংশ পরের পর্বে লিখব।

শেরপুর ভ্রমণ দ্বিতীয় পর্ব

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

Protein

দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও নাগরিক ভাবনা

গ্রাম বাংলার লোককথা পঞ্চম পর্ব