ভাগ্য বদল শেষ পর্ব

প্রথম পর্বের পর থেকে ---

পরের মাসের প্রথমদিন থেকে সুবল কাজে যোগদান করল। কাজের পাশাপাশি সে পড়াশোনারও করতে লাগল। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হল শহরের মহাবিদ্যালয়ে ।চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনার চলতে লাগল পুরোদমে । কাজে কর্মে মনোযোগী হওয়ার কারনে পাঁচ ছয় মাসের মধ্যেই উদ্ধতর্ন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হল।

দেখতে দেখতে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল সুবল। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার পর তার একটি পদোন্নতি হল। এতে করে তার কর্মোদ্যম বহুগুণ বেড়ে যায় । এরপর সে একটি স্নাতক কলেজে ভর্তি হয়। স্নাতক ডিগ্রিও ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়ে গেল । দিন যায় দিন আসে সুবল ধাপে ধাপে পদোন্নতি পায়। এতেকরে সে উপ সহকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত পৌছে যায় পদবিতে। এমন অবস্থায় সে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় ।

এরপর থেকেই তার দিন পাল্টে যায় । সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসে । ছোট ভাইবোনদের ভালোভাবে পড়াশোনা করানো, তাদের বিবাহ শাদি দেওয়া, সবকিছুই ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়ে যায় । সময় বহমান, বয়ে চলে আগামীর পথে।ইতিমধ্যে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে । সময়ের স্রোতে ভেসে গেল অনেক মুহুর্ত। এতদিনে সুবলের ভাইবোনদের ছেলেমেয়েরাও বড় হয়েছে । তাদেরকেও সুবল ভালো জায়গায় চাকরির ব্যবস্থা করে দিল। আজ সুধীরের পরিবার সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত পরিবার । এখন বিভিন্ন গ্রাম্য বিচার সালিশে সুধীরের মাতব্বর হিসেবে ডাক পরে। আসলে ভাগ্য কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায় কেউ বলতে পারেনা। মানুষের কষ্টের সময় একদিন শেষ হয়। বদলে যায় ভাগ্য । কিন্তু পরিবর্তনের পিঠে লিখা থাকে নানারকম ত্যাগ আর পরিশ্রমের লুকোনো গল্প ।

Post a Comment

3 Comments