রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা তৃতীয় পর্ব

পানি সংগ্রহের পথে রতন:

দুপুর গড়িয়ে বিকাল শুরু হল। হাতীর পাল ঢালু এলাকা বেয়ে সামনে এগিয়ে চলল। তাদের দেখে মনে হচ্ছে মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া হয়েছে ।বেশ কয়েকটি চড়াই উৎরাই পার হয়ে হাতীর পাল যখন সমতল ভূমিতে এসে পৌঁছল তখন দূরে নদীর তটরেখা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল । রতন অনেক কষ্টে হাতীর পাল কে অনুসরন করতে ছিল। এতে করে তার হাত, পা আর শরীরের বিভিন্ন অংশ জংলি কাঁটাযুক্ত গাছের আচড়ে ছোলে গেল। হাতীর পাল যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই নদীর তটরেখা স্পষ্ট হচ্ছিল । এভাবে প্রায় ঘন্টা খানেক যাওয়ার পর হাতীর পাল নদীর কাছে এসে পৌঁছল। পানি দেখে হাতীদের আনন্দের শেষ নেই ।শুঁড় দিয়ে পানি ছিটিয়ে খেলা করতে লাগল।শুঁড় পানিতে ডুবিয়ে পানি পান করতে লাগল হাতীগুলো। হাতীরদের পানি পান করা শেষ হয়ে গেলে তারা বনের অন্য প্রান্তের দিকে চলে যেতে লাগল। তখন রতন নদীর কাছে গিয়ে পানি পান করল আর সঙ্গে রাখা কিছু কাঠের গুড়ির পাত্রে পানি ভরে নিল।

পানির সমস্যা তো মিটে গেল। এখন দরকার লোকালয়েয় খুঁজে বের হওয়া । ফিরতে হবে মানব বসতির দিকে।

এরকম পরিস্থিতিতে দিক ঠিক রাখা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে যায় । অনেক সময় ডেথ সার্কেল বা মৃত্যু চক্রে পড়ে অনেকেই একি এলাকায় ঘুরপাক খেতে থাকে। তাই রতন চিন্তা করল সে যে ভাবেই হোক যে কোন চিন্হ রাখবে যাতে করে সে পথ হারিয়ে একই রাস্তায় চক্রাকারে ঘুরা থেকে রক্ষা পেতে পারে।
রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা
রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা চতুর্থ পর্ব

Comments

Popular posts from this blog

Protein

দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ও নাগরিক ভাবনা

গ্রাম বাংলার লোককথা পঞ্চম পর্ব