Posts

Showing posts with the label Nature

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা দ্বিতীয় পর্ব

Image
যাত্রা পথে রতন চলতে চলতে এক সময় তার মাঝে কাল্তি চলে আসে। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য সে জঙ্গলের এক জায়গায় থামল। চারদিকে গাছপালা দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা । সর্বত্র অপরিচিত বড় বড় গাছ গাছালি।গাছে গাছে অদ্ভুত ধরনের অপরিচিত পাখি। পাখির মাথাগুলো ছোট তবে দেখতে অনেকটা গরুর মাথার মতো দেখতে। পাখি গুলো এমন অদ্ভুত একধরনের শব্দ করছে যেন তারা নিজেদের মধ্যে কোন অপরিচিত ভাষায় কথা বলছে। দূর থেকে হাতির ডাক শোনা যাচ্ছে । মনে হচ্ছে আসেপাশে কোথাও হাতির পাল চড়ে বেড়াচ্ছে মনের আনন্দে। এরকম মনোরম পরিবেশ দেখে রতনের কান্তি এমনিতেই অনেকটা কেটে গেল । কিন্তু একটু পর সে ক্ষুধা অনুভব করল। কিছু ভেবে পাচ্ছিল না কি খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করবে, যদিও চারপাশের গাছগুলোতে নানা রঙের আকর্ষণীয় ফল দেখতে পাচ্ছিল। কিন্তু তার সন্দেহ হচ্ছিল ফলগুলো যদি বিষাক্ত হয় তবে খেলে নিশ্চিত মৃত্যু ।তাই সে ভাবছিল কি করা যায় । সে হাটতে হাটতে আরও গভীর জঙ্গলের দিকে ডুকে গেল।কিছুদূর যাওয়ার পর দেখতে পেল একদল বূড়ো হনুমান ।সে লক্ষ্য করল তাদের হাতে গোলাপী রঙের কোন একটি ফল। ফলগুলোর খোসা ছা

অবষন্ন প্রেম

কবিতার কোল জুড়ে কষ্ট ভালোবাসার উত্তাপ হৃদয় ছেদনকারী অস্র নোঙর তোলা পাল আজ পথ ভ্রষ্ট । বেদনার কোল জুড়ে নিদারুণ হাহাকার অসীমের বুক আজ মরুময় রুদ্রতায় উষ্ণ। কল্পলোকের সীমানার দিগন্ত অলিক কালোমেঘে দগ্ধ । আষাঢ়ের বাতাস বহেনা শিরা উপশিরায় বিষ করে অবিরত অবসন্ন । ঠুনকো প্রেম বহমান অবিরত ধারার পরাবাস্তব দুনিয়ায় আজ বড় আপনময়। বিষন্ন প্রেমিক আজ রিক্ত আহাজারি আওয়াজ দুনিয়ার বুকে আজ তুচ্ছ ।

বিয়ে বাড়ির আনন্দ

Image
বিয়ে বাড়ির আনন্দ কাছে থেকে দেখা কিছু দিন আগে একটা বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ , উৎসব। ছোট ছোট বাচ্চারা চারদিকে হইহুল্লোড় করছিল । বিভিন্ন রঙের লাল নীল আলোর বাতি দিয়ে সমস্ত বাড়ি সাজানো ছিল, যা দেখে বাচ্চাদের খুব আনন্দ হচ্ছিল । বরযাত্রী প্রবেশের দরজা ছিল নানা কারুকাজে সাজানো, সেখানেও বাচ্চাদের ভিড় ছিল। শিশুদের আনন্দ যেন ধরেনা। তারা এদিক সেদিক দৌড়াচ্ছিল ।বর আসবে, বর দেখবে । বউ সাজবে, বউ দেখবে। বিয়ে বাড়ির আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে খাওয়া-দাওয়া। বিয়ে বাড়িতে পোলাও মাংস খাওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও বাড়ির আসেপাশের গৃহপালিত কুকুর বিড়াল গুলোও চলে আসে খাবারের গন্ধে। বিনা দাওয়াতেই তারা হাড়গোড় খেয়ে চলে যায় । বিয়ে পড়ানো যখন শুরু হয় তখন সবাই ভিড় করে বিবাহ পড়ানো দেখতে। মহিলারা নানারকম গান বা গীত গেয়ে নতুন বর কনে কে অভ্যর্থনা জানায়। এগুলো বাঙালী সংস্কৃতির আদি রীতি। যুগ যুগ থেকেই এটি চলে আসছে। আবার বরের সাথে কনের আত্মীয় এবং কনে পক্ষের লোকের সাথে বরের আত্মীয়রা নানারকম রসিকতা করে থাকে। যেমন বরের জুতা সরিয়ে রেখে টাকা আদায়, তার মধ্যে অন্যত

ভাগ্য বদল শেষ পর্ব

প্রথম পর্বের পর থেকে --- পরের মাসের প্রথমদিন থেকে সুবল কাজে যোগদান করল। কাজের পাশাপাশি সে পড়াশোনারও করতে লাগল। উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হল শহরের মহাবিদ্যালয়ে ।চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনার চলতে লাগল পুরোদমে । কাজে কর্মে মনোযোগী হওয়ার কারনে পাঁচ ছয় মাসের মধ্যেই উদ্ধতর্ন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হল। দেখতে দেখতে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল সুবল। উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার পর তার একটি পদোন্নতি হল। এতে করে তার কর্মোদ্যম বহুগুণ বেড়ে যায় । এরপর সে একটি স্নাতক কলেজে ভর্তি হয়। স্নাতক ডিগ্রিও ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়ে গেল । দিন যায় দিন আসে সুবল ধাপে ধাপে পদোন্নতি পায়। এতেকরে সে উপ সহকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত পৌছে যায় পদবিতে। এমন অবস্থায় সে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয় । এরপর থেকেই তার দিন পাল্টে যায় । সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসে । ছোট ভাইবোনদের ভালোভাবে পড়াশোনা করানো, তাদের বিবাহ শাদি দেওয়া, সবকিছুই ভালোভাবেই সম্পন্ন হয়ে যায় । সময় বহমান, বয়ে চলে আগামীর পথে।ইতিমধ্যে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে । সময়ের স্রোতে ভে

ভাগ্য বদল সূচনা পর্ব

Image
ভাগ্য বদল একাকার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করেন সুধীর। তাঁর সাত ছেলেমেয়ে । সংসারের খরচ জোমাতে হিমশিম খেতে হয় । চাষের কিছু জমি থাকার জন্য রক্ষা । তা না হলে দুবেলা দুমুঠু ভাত জোগাড় করাও তাঁর জন্য কঠিন হয়ে যেত । এদিকে দেখতে দেখতে ছেলেমেয়ে গুলো বড় হতে লাগল। বড়ছেলে সুবল। শ্যাম বর্ন, সাস্থ মোটামুটি ভালোই বলা চলে। সুবল যখন মেট্রিকুলেশন পাশ করল তখন তার বাবা চিন্তা করলেন তাকে কোন চাকরিতে পাঠিয়ে দিবেন। সুধীর যেহেতু নিয়মিত বিভিন্ন হাটে যান , এতে করে হাটের বেশ কিছু মহাজনের সাথে তাঁর ভালো জানাশোনা হয়ে যায় । এমন একজন মহাজন হলেন বাঁশখোলা বাজারের অমল সাহা। লোকটা খুব অমায়িক, তা না হলে সুধীরের মতো কম অবস্থা সম্পন্ন লোকের সাথে তিনি মিশতেন না। এদিকে অমল সাহার দাদা বিমল সাহা, তিনি কৃষি মন্ণালয়ের বড় কর্মকর্তা । তিনি শহরেই থাকেন তাঁর পরিবার নিয়ে । পূজা পার্বণে বাড়িতে আসেন বছরে দু একবার। তবে তিনি এলাকার লোকদের অনেক কদর করেন। তাঁর মন পড়ে থাকে এলাকায় । তিনি এলাকার লোকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চান। উপরওয়ালা সবাই কে সুযোগ দেন। বিমল সাহাও সুযোগ পেলেন ভালো কাজ করার।মন্রনালয়

রতনের বোনের বাড়ি যাত্রা প্রথম পর্ব

Image
রতনের রোমাঞ্চকর ভ্রমন শুরুঃ বোনের বাড়ি যাচ্ছিল রতন। রাস্তা ভুলে সে পাহাড়ি উপত্যকার কাছাকাছি চলে গেল। তার সাথে ভারি অদ্ভুত একটা ঘটনা ঘটে গেল । ডানা ছাড়াই মাটি থেকে চার পাঁচ হাত উপর দিয়ে উড়তে পারছে। সে উড়ে চলতে লাগল । যেতে যেতে এমন এক স্থানে পৌছল যেখান থেকে দূরে আকাশছোঁয়া কোলো পাহাড় দেখা যাচ্ছে ।মাঝে নদী আর নদীর ওপারে পাহাড়ি জংলি মানুষের বসবাস । নদীর ওপারে সভ্যতার আলো এখনো পৌছে নি। নদীর ওপারের পাহাড়ি লোকজন নদীর এপার আসার কোন পদ্ধতিও আবিষ্কার করতে পারে নি।ফলে তারা নদীর ওপারেই দলবদ্ধ ভাবে বসবাস করে । এদিকে রতন উড়ে চলেছে মাইলের পর মাইল, কিন্তু সে তার গন্তব্য খুঁজে পাচ্ছে না ।চলছে তো চলছেই । এ যাত্রার শেষ নেই।যতই সে এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে ততই অপরিচিত এলাকার সন্ধান পাচ্ছে।

গ্রাম বাংলার লোককথা চতুর্থ পর্ব

Image
গ্রাম বাংলার লোককথা পর্ব চার বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবার আপনাদের কাছে হাজির হলাম গ্রাম বাংলার লোককথা চতুর্থ পর্ব নিয়ে । আজ আপনাদের টাঙ্গাইল জেলার দূরবর্তী একটি গ্রামের গল্প শোনাব ।টাঙ্গাইলের স্থানীয় ভাষায় অপেক্ষাকৃত উচু জমি নিয়ে গঠিত এলাকাকে পাহাড় বলে। এমন একটা গ্রামের চিত্রই আজ ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করব। গ্রামটি এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে গ্রামের পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট একটি নদী ।নদীটি গ্রামের হাট লাগোয়া ।বর্ষায় নদীতে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকে। সারি সারি ইঞ্জিন চালিত নৌকা বর্ষাকালে গ্রামের হাটে সওদা করতে আসে। কিছু নৌকা আসে যাত্রী নিয়ে আবার অন্য গুলো আসে রকমারি পন্য সামগ্রী নিয়ে ।সপ্তাহে দুইদিন এখানে হাট হয় । গ্রামের মানুষ হাটের দিনে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা বেচা করে ।সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । গ্রামের বাচ্চারা হাঁটের দিনে জিলিপি খাওয়ার বায়না ধরে হাঁটে আসে। ভারি মজার স্বাদের জিলিপি তৈরি হয় এখানকার হাঁটে । এছাড়ার হাঁটের দিন গরু মহিষ জবাই হয় । লোকজন হাঁট থেকে ফেরার সময় গরুর মাংস বা বড় মাছ নিয়ে বাড়িতে যায় । সেগুলি তৃপ্তি সহকারে খায় তাদের পরিবার পর

পরিশ্রমে সুদিনের যাত্রা

পরিশ্রমে সুদিনের যাত্রা গ্রামের সহজ সরল ছেলে রফিক ।সাত ভাইবোনের মধ্যে ছোট। রফিকের বাবা মহিউদ্দিন একজন কৃষক।এত বড় পরিবারের দেখভাল করা তাঁর জন্যে সত্যিই কষ্টের বিষয় । যে সময়ের কথা বলছি তখন গ্রামে গ্রামে অপরিকল্পিত পরিবার ব্যবস্থা সাধারন ব্যাপার ছিল।রফিক সবার ছোট হলেও ছোটবেলা থেকে যথেষ্ট পরিশ্রমি ছিল। এদিকে রফিকের খালার বিয়ে হয়েছিল পাশ্ববর্তী গ্রামে। রফিকের খালু ব্যাংকে চাকরি করে । মোটামুটি সচ্ছল পরিবারই বলা চলে। আগের দিনে গ্রামে গন্জে দেখা যেত যাদের অনেকগুলো ছেলেমেয়ে থাকত তারা ছেলেদেরকে বিভিন্ন সচ্ছল পরিবারে কাজের জন্য রেখে আসত বছর চুক্তিতে। খাবে দাবে, প্রয়োজনীয় কাপড় পাবে সাথে বছর শেষে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাবে।রফিকের বাবা মহিউদ্দিন ও এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর ছেলেদেরকে তিনি এলাকার বিভিন্ন বিত্তশালী পরিবারে কাজে পাঠাবেন বলে মনস্থির করলেন। রফিক যেহেতু পরিশ্রমী ছিল তাই তার খালু তাকে খুব পছন্দ করতেন। তিনি যখন জানতে পারলেন যে রফিকের বাবা রফিকে অন্যত্র কাজে পাঠাবেন, তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন রফিকে নিজের কাছে এনে রাখবেন। থাকা খাওয়া, বিয়ে থা সব দায়িত্ব নিজে নিবেন। তাই কয়েকদিন প

আশা নিরাশা ও প্রাপ্তি

আশা নিরাশা ও প্রাপ্তি: সময়ের নিয়মে সময় চলে যায় । কালকের দিন আজকে অতীত।কত সহজেই না পুরনো দিন গুলো হারিয়ে যায় ।স্মৃতির উপর ধুলো জমে।জমতে জমতে আস্তরন পুরো হয় ।তার নিচে জমা পরে যায় অতীতের কথা ।মানুষ বাঁচে আঁশা নিয়ে ।ভাবে কষ্ট করি এক সময় সব হবে। মানবজীবন অতি ছোট একজীবনে সব আর কখনো হয়ে ওঠেনা।অতৃপ্তির খাতায় শূন্যতাই প্রাপ্তি।স্মৃতি কাতর হয়ে কতটুকু এগোনো যায় ? অনেকে পরিবারের চাপে নিজেকে বিসর্জন দেয় ।নিজের সপ্ন, পথ চলার গতিরেখা , সব খেই হারিয়ে বসে।পরিবারের বোঝা মানুষের মনের সৃজনশীলতাতে সমূলে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যথেষ্ট ।পরিকল্পনা বিহীন পারিবারিক ব্যবস্থায় হতাশাই একমাত্র প্রাপ্তি ।নিম্নবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা সুখেই দিন কাটায়। উচ্চবিত্তদের আছে টাকা আর নিম্নবিত্তদের সব রকম উপার্জনমূলক কাজ করার স্বাধীনতা। বিপদে মধ্যবিত্ত ।না পারে চলতে না পারে বলতে। লোক লজ্জাই মধ্যবিত্তের বড় সম্পদ।এ কাজ করা যাবেনা মানুষ কি বলবে, ও কাজ করলে মান সম্মান শেষ।মান সম্মান খুব দামী জিনিসরে বাবা। না খেয়ে থাকলেও মান-সম্মান খোয়ানো যাবেনা ।প্রয়োজনে খাওয়ার অভিনয় করতে হবে।সমাজ ব্যবস্থা অতি পুরাতন যুগ যুগ ধরে মানুষ এ ব্যবস্থ

National Anthem

Image
National anthem: National anthem is a nationally recognized song. The song is sung on various national occasions and nationally important occasions. The national anthem reflects the hopes, aspirations and pride of a nation. Every nation has own style of singing of national anthem. According to Cambridge dictionary “anthem: a song that has special importance for a particular group of people, an organization, or a country, often sung on a special occasion”. According to Britannica, national anthem, hymn or song expressing patriotic sentiment and either governmentally authorized as an official national hymn or holding that position in popular feeling. The oldest national anthem is Great Britain’s “God save the Queen,” which was described as a national anthem in 1825, although it had been popular as patriotic song and used on occasions of royal ceremonial since the mid-18th century. According to Collins dictionary, a national anthem is a nation’s off

পহেলা বৈশাখ - শুভ নববর্ষ ১৪৩০

Image
পহেলা বৈশাখ আজ পহেলা বৈশাখ 1429। পহেলা বৈশাখ বাংলা বছরের প্রথম দিন । বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবছর এই দিনটি উৎসব আমেজের মধ্যে উৎযাপিত হয় ।এই দিনে বাঙালিরা নানা রঙে সাজে। পান্তা ইলিশ খাওয়ার মাধ্যমে দিন শুরু করে অনেকে। কোথাও কোথাও আবার পান্তা ইলিশ উৎসবও হয় । বৈশাখী র্যালি হয় শহরের রাস্তায় রাস্তায় ।শহরে ও গ্রামে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় মাসব্যাপী বৈশাখী মেলা । গ্রাম কিংবা শহর যেখানেই হোক না কেন, বৈশাখ মানেই বাঙালির আনন্দ । দোকানিরা হালখাতা করে। পুরনো হিসাবের খাতা বন্ধ করে নতুন হিসাবের খাতা খুলে। যতটুকু জানা যায় মোগল সম্রাট আকবরের আমলে প্রথম পালিত হয় পহেলা বৈশাখ ।তার পর থেকেই বাঙালী জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আজও রয়ে গেছে এ দিনটি। পুরনো জরা-জীর্ন ভুলে নতুনের বার্তা নিয়ে আসহে বৈশাখ, আসহে।

Cox’s Bazar Sea Beach- World's Longest sea beach

The longest sea beach in the world Cox’s Bazar Sea Beach is the longest se beach in the world. The 120 km long beach is characterized by the fact that the entire beach is sandy and muddy. Cox’s Bazar city is bustling with tourists during the tourist season. The activities of Bangladesh Tourism Corporation and the local Sea-Beach Management Committee are in order to beautify the Cox's Bazar beach. The old oyster market has been demolished and the newly built modern oyster market 'Beach Park Market' in the form of an eight-colored umbrella is truly worth seeing. Although there is space for construction of eight shops in each market, the shopkeepers have built eight shops with sixteen and in some cases twenty shop houses. Three more similar umbrella markets are under construction. In addition to snail-oyster and coral shops, these markets have a collection of various shops including Burmese products, cosmetics, fast food, cooling corners, dry go

Reduction of the effects of Climate Change

Image
Protect Environment by following 6R ( RETHINK, REFUSE, REDUCE, REUSE, RECYCLE AND REPAIR) Rethink: We should rethink about waste produce by using alternative products and considering how we can further reduce our environmental footprint. Refuse: Are there materials a designer would not use? That means intend to not use any goods that will harmfull for environment. Reduce: Can the use of materials be reduced? We should also keep in consideration that we try to reduce the use of material. Reuse: Can the product be used again for another purpose? We should consider about product reuse. Recycle: Can materials be used that are easy to recycle when the product is finished with? If possible we recycle goods Repair: Repair: Can the product be repaired instead of thrown away? If possible we should repair any product before though away.

গ্রাম বাংলার লোককথা তৃতীয় পর্ব

Image
  বাংলার লোককথা: আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম গ্রাম বাংলার লোককথা নিয়ে ।আজ থাকছে এ সিরিজের তৃতীয় পর্ব ।আজ আপনাদের শোনাব কুড়িগ্রাম জেলার দূরবর্তী একটি গ্রামের গল্প ।গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদী।গ্রামের অনেক লোকজনই এই নদীতে মাছ ধরে।মাছ ধরা অনেকের পেশা, আবার অনেকের নেশাও হয়ে গেছে ।নদীতে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী নৌকা চলাচল করে।গ্রাম বাংলার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রতি বর্ষায় প্লাবিত হয় গ্রামের নিচু অংশ।অনেক সময় মানুষের বসত ভিটাতেও পানি উঠে যায় ।এতে করে লোকজনের জীবন যাপন ও চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।নৌকা হয়ে উঠে চলাচলের একমাত্র উপযোগী মাধ্যম।এলাকার রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন গাছ গাছালি লাগানো আছে, যা চলার পথে পথিককে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করে।এলাকার মাঝ বরাবর পাকা রাস্তা এলাকাটিকে উপজেলা শহরের সাথে যুক্ত করেছে।গ্রীষ্মকালে রাস্তার দুপাশের ধানক্ষেতের দুলুনি হাওয়ায় ধানের শীষ দোল খেলে যায়,যা দেখে হৃদয় শীতল হয়ে যায় ।এলাকার পূর্ব পাশে একটা ছোট বিল বয়ে গেছে ।এই বিল নিয়ে লোকমুখে শুনা যায় নানারকম লোককথা ।কাহিনী গুলোর বেশির ভাগই এলাকার দাদা -নানা দের কাছে থ

জোছনা রাতে ফুটবল খেলা

Image
একটি স্মরনীয় রাত: যে সময়ের কথা লিখছি তা অনেকদিন আগের কথা।প্রায় বছর পঁচিশ হবে। গ্রামে গন্জে তখনো বিদ্যুৎ যায়নি।গ্রামের এক স্কুলের কমিটি আর শিক্ষকরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন স্কুলের ছাত্রদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য হোস্টেল চালু করা হবে। যেই কথা সেই কাজ । এর পনের দিন পরে পঞ্চাশ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হল স্কুল হোস্টেলর যাত্রা ।দুজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হল ছাত্রদের সার্বিক দেখভাল করার জন্য ।শিক্ষকদের পূর্ণ নির্দেশনায় হোস্টেল চলতে থাকল সুষ্ঠুভাবে।ছাত্রদের পড়াশোনার গতিও বেশ বেড়ে গেল। সবাই নতুন উদ্যমে উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে পড়াশোনা করতে লাগল।কিছু দিনের মধ্যেই এলাকায় সুনাম ছড়িয়ে গেল স্কুল হোস্টেলর।নতুন নতুন অভিভাবকরা আসতে শুরু করল তাদের ছেলেদের ভর্তি করতে।দেখতে দেখতে হোস্টেলে কয়েকশ জন ছাত্র হয়ে গেল।এবার আসল কথায় আসি , হোস্টেল পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলাও চালু ছিল।যে দুজন শিক্ষক হোস্টেলের দায়িত্বে ছিলেন তাদের মধ্যে একজন ক্রীড়াবিদ শিক্ষকও ছিলেন ।তিনি ছাত্রদের খেলাধূলার প্রতিও গুরুত্ব দিতেন।সবচেয়ে মজার বিষয় হলো তিনি মাঝে মধ্যে রাতে চাঁদের আলোয় ফুটবল প্রতিযোগিতা ম্

গ্রাম বাংলার লোককথা ( দ্বিতীয় পর্ব)

Image
গ্রাম বাংলার লোককথা ( দ্বিতীয় পর্ব) ঢাকা জেলার দূরবর্তী একটি গ্রামের বর্ননা নিয়ে আবার চলে এসেছি আপনাদের মাঝে ।গ্রাম বাংলার লোককথার এটি দ্বিতীয় পর্ব ।আজ আপনাদের সাথে যে গ্রামের গল্প উপস্থাপন করব সে গ্রামটি অনেকদিন পর্যন্ত সভ্যতার আধুনিকতা থেকে দূরে ছিল।বৈদ্যুতিক সংযোগ অনেক পরে এসেছে এখানে ।গ্রামের লোকজনের মুখে শোনা দশ বছর আগেও সবাই কেরোসিন তেলের কুপি জ্বালিয়ে রাতে ঘর আলোকিত করত।সেচের মেশিন গুলোও চলত এভাবে ।গ্রামটি একটি খোলামেলা গ্রাম ।গ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই বিল।শীতের সময় বিলের পানি শুকিয়ে যায় । দল বেঁধে লোকজন মাছ ধরতে যায় ।বর্ষায় গ্রামের মাঠে থইথই করে পানি।বর্ষায় যখন গ্রামের মাঠ পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়,গ্রামের বিস্তৃত মাঠ থেকে জলরাশির উপর দিয়ে শীতল হাওয়া বয়ে চলে, যা গ্রামের মানুষকে গরমের দাবদাহ থেকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট।এসময়ে গ্রামের বিলগুলোতে অনেক মাছ ধরা পড়ে ।জেলেদের তখন ব্যস্ততার শেষ নেই ।রাত জেগে বিভিন্ন রকম জাল দিয়ে মাছ ধরে তারা।সকাল হলেই মাছ বিক্রির জন্য পাশর্বর্তী হাট বাজারে ছুটে চলে তারা।রাস্তার পাশে বসেও মাছ ব

গ্রাম বাংলার লোককথা

Image
গ্রাম বাংলার লোককথা প্রথম পর্ব আজ থেকে শুরু করছি গ্রাম বাংলার লোককথা নিয়ে ছোট গল্প । এগুলো আসলে নিছক কোন গল্প নয় মানুষের কাছে থেকে সংগৃহীত বাস্তব বর্ণনা ।আজ লিখব নওগাঁ জেলার দূরবর্তী এক নাম না জানা গ্রামের গল্প।গ্রামের ইতিহাস খুবই পুরনো ।এখন পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে।এখন আসা যাক মূল বর্ণনায়। গ্রামের উওর পূর্বে আবাদি জমি । সবুজে ছেয়ে থাকে সবসময়। পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে গেছে ছোট্ট নালা। একসময় নালা প্রবহমান ছিল। এখন আস্তে আস্তে বরাট হয়ে যাচ্ছে।গ্রামের আসল আকর্ষণ হল নালার উপরের দরগা।লোকে বলে বিবি মার দরগা।কথিত আছে উনার দুই পা নালার দুই পাড়ে থাকত। সবই অবশ্য শোনা কথা। কিন্তু কেইবা যাচাই করতে পারে বলেন ।দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে লোকজন আসে দরগায় মানত করতে। কেউ বা দেয় মুরগি, কেউ দেয় ছাগল, কেউ দেয় দুধ।যে যা পারে সাধ্যমতো দিয়ে মানত করে যায়। লোকেরদের বিশ্বাস এতে তাদের মঙ্গল হবে। মঙ্গল অমঙ্গলের কথা কেউ বা বলতে পারে, বলেন। সবই মানুষের বিশ্বাস। বিশ্বাসে শান্তি মেলে।পবিত্র আশুরার দিনে দরগােয় যথাযোগ্য মর্যাদার মাধ্যমে পালিত হয় আশুরা।লোকজন একত্রিত হয়। ইমাম হাসান হোসেনের জন্য দুঃখ

আঁকিবুকি

Image
আঁকা- আঁকি ছবি মানুষের মনের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম।আঁকা- আঁকি করা মানুষগুলো একটু ভিন্ন ধরনের হয় ।যাকে বলে শৈল্পিক সত্তা।লোকেরা অনেক কারণেই ছবি আঁকে ।কেউ বা শখের বশে আবার কেউ পেশাদারিত্বের খাতিরে।শিল্পকর্ম আসলে মনের খোরাক।ছবি আঁকা-আঁকি এমন একটা শিল্পগুন যার মানদণ্ড নির্ধারণ করা খুবই কঠিন ।লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একই ছবি কারও কাছে পছন্দ হচ্ছে আবার অন্য অনেকের কাছে নাও পছন্দ হতে পারে ।এক ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল বলেছিলাম আপনি যে এত ছবি আঁকেন, কোন নির্দিষ্ট কারন আছে কি? তিনি উত্তরে বললেন, আসলে মনের কোণে যখন কোন ছবি উঁকি দেয় তাই কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবে রুপ দিতে চাই, সৃজনশীলতা মিশিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে চাই। আঁকা- আঁকি নিয়ে কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির উক্তি উল্লেখ করা যাক, " আমি মাঝে মাঝে মনেকরি আঁকার মতো আনন্দদায়ক কিছু নেই"। ভিনসেন্ট ভ্যান গগ। "একজনকে সর্বদা আঁকতে হবে, চোঁখ দিয়ে আঁকতে হবে, যখন কেউ পেন্সিল দিয়ে আঁকতে পারেনা"। বেলথাস। মানুষের প্রথম লেখা ছিল আঁকানো, লেখা ছিল না।মারজানে সাতরপি। ছোট বাচ্চাদের দেখা যায় ড্রইং পেন্সিল বক্স দিয়ে আঁকা

Indoor Plants

Image
Indoor Plants Idea Pic:Indoor Plants, credit:freepik Some foods plants, including tomatoes, are already grown indoors. Vertical farms would be located in urban centre, meaning that there would be less need to take them long distances to customers. Vertical farms could use methane from plants and animals to produce energy. The concussion of fossil fuel would be cut because agricultural vehicles would be unnecessary. The fact that vertical farm would need artificial light is a disadvantage. One form of vertical farming involves planting in stacked tray which is not fixed. The most probable development is that food will be grown on urban roof tops in towns.

জাতীয় সঙ্গীত

Image
জাতীয় সঙ্গীত : আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি । চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। ওমা , ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায় হায় রে- ও মা , অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি । কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়ি গো- কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে । মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে- মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি।। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর